Header Ads

বহুল কাঙ্ক্ষিত দেশের প্রায় ১ কোটি NATIONAL ID CARD / SMART CARD বিতরণ

বহুল কাঙ্ক্ষিত দেশের প্রায় ১ কোটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা স্মার্টকার্ড বিতরণ করার জন্য প্রস্তুত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিকভাবে ২০১৪ ও ২০১৫ সালের ভোটারদের স্মার্টকার্ড দেওয়া হবে। ২০১৪ সালে ভোটার হয়েছিলেন ৪৬ লাখ ৯৫ হাজার ৬৫০ নাগরিক এবং ২০১৫ সালে নতুন ভোটার হয়েছেন ৪৪ লাখ ৩২ হাজার ৯২৭ নাগিরক। এই দুই বছরের মোট ৯১ লাখ ২৮ হাজার ৬২২ জনকে স্মার্টকার্ড দেওয়ার পর ধারাবাহিকভাবে অন্যান্যদের মধ্যেও বিতরণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্মার্টকার্ড বিতরণ করার কথা রয়েছে।
স্মার্টকার্ডে রয়েছে ২৫ ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এটি সহজেই কেউ নকল করতে পারবে না। এছাড়া এটি দিয়ে ২০ ধরনের নাগরিক সেবা পাওয়া যাবে। এগোলোর মধ্যে রয়েছে- আয়করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর, ড্রাইভিং ও ট্রেড লাইসেন্স, পাসপোর্ট ও সরকারি সহয়াতা-ভাতা প্রাপ্তি এবং বিমানবন্দরে ই-গেইটের মাধ্যমে আগমন ও বহির্গমন প্রভৃতি। এদিকে ১৮ বছরের নিচের বয়সীদেরও জাতীয় পরিচয়পত্র দেবে ইসি। সেক্ষেত্রে তারা প্রাপ্ত বয়স্ক হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ভোটার হয়ে যাবেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এনআইডি শাখা ইতোমধ্যে কমিশন বৈঠকে স্মার্ট কার্ড বিতরণে সব রকম প্রস্তাবনা উত্থাপন করার পর নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে সম্মতিও দিয়েছে। এনআইডি বিতরণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাচ্ছেন ঢাকার ভোটাররা। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যস্থানেও এই কার্ড বিতরণ করা হবে। বর্তমানে ১০টি মেশিনে কার্ড উৎপাদনের কাজ চলছে। প্রতিটি মেশিন মাসে ৫ লাখ কার্ড উৎপাদনের ক্ষমতা রাখে। বর্তমানে ৯টি মেশিনে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডারে উৎপাদন চলছে। আর একটি আগারগাঁওয়ের ইসলামী ফাউন্ডেশনে স্থাপিত এনআইডি শাখায় বসানো হয়েছে। স্মার্টকার্ড প্রস্তুত করে দিচ্ছে ফ্রান্সের একটি কোম্পানি। ১৮ মাসের মধ্যে কোম্পানিটি ৯ কোটি এনআইডি প্রস্তুত করে দেবে।
জানা গেছে, স্মার্টকার্ড বিতরণের সময় নাগরিকদের ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবিও সংরক্ষণ করা হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি এলাকায় ক্যাম্প স্থাপন করে কার্ড বিতরণ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেবে সংস্থাটি। এজন্য প্রয়োজনীয় মেশিন কেনার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঢাকার ভোটারদের স্মার্টকার্ড দেওয়ার জন্য ৭৫টি ক্যাম্প করা হবে। যেখানে নাগরিকরা এসে তাদের কার্ড সংগ্রহ করবেন। প্রতিদিন প্রায় দুই লাখ ভোটারকে স্মার্ট কার্ড দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
দেশে বর্তমানে প্রায় ১০ কোটি ভোটার রয়েছেন। এদের মধ্যে ৯ কোটি ১৮ লাখ ভোটার বর্তমান লেমিনেট করা জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছেন। যাদের সবাইকেই পর্যায়ক্রমে কার্ড সরবরাহ করবে ইসি। প্রতি কার্ডের জন্য খরচ হচ্ছে দুই ডলার। এর মেয়াদ হবে ১০ বছর। এর ফি দিয়ে নতুন করে কার্ড সংগ্রহ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার উদ্যোগ নেয় এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন বিগত নির্বাচন কমিশন। এরপর ২০১১ সালে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহেন্স অ্যাকসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) নামে আরেকটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। লক্ষ্য ছিল কঠোর নিরাপত্তাবিশিষ্ট উন্নত মানের এনআইডি সরবরাহ করা। এ প্রকল্পের মেয়াদ প্রথমে ২০১৬ সাল পর্যন্ত থাকলেও তা বাড়িয়ে এখন ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.