*খেলাধুলা*
ঢাকা: আগামী জুলাই মাস
থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) হাই পারফরম্যান্স
ইউনিটের (এইচপি) কার্যক্রম। যা চলবে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত। সোমবার এ বিষয়টি
নিশ্চিত করেছেন বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির ম্যানেজার নাজমুল আরেফিন
ফাহিম।
দেশের প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিবিড়
পর্যবেক্ষণের আওতায় রাখতে এই এইচপির কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। ব্যাটিং,
পেস বোলিং, স্পিন বোলিং, ফিল্ডিংসহ বিভিন্ন বিভাগে বিশেষায়িত ট্রেনিং
প্রোগ্রাম পরিচালিত হয় এইচপির কার্যক্রমে। এবারের কার্যক্রমটি পরিচালনা
করতে এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক সায়মন হেলমটকে এইচপির প্রধান কোচ
হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি।
বিষয়টি নিয়ে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট
কমিটির ম্যানেজার নাজমুল আবেদিন ফাহিম বলেন, ‘নতুন কোচের অধীনে জুলাই মাস
থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত এইচপি ইউনিটের কার্যক্রম চলবে। কয়েকটি ধাপে এই
প্রোগ্রাম চলবে। একটা ধাপে টেকনিক্যাল বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা হবে, আরেকটা
ধাপে ম্যাচ কন্ডিশনে খেলোয়াড়রা কীভাবে টেকনিকগুলোকে ব্যবহার করছে তা
মূল্যায়ন করে দুর্বলতা ধরিয়ে দেয়া হবে। এজন্য আলাদাভাবে বিশেষজ্ঞদের
সাহায্যও নেওয়া হবে।’
এইচপি ইউনিটের জন্য কীভাবে খেলোয়াড় বাছাই
হবে সেই বিষয়ে বিসিবির কর্মকর্তার জবাব, ‘এখানকার নির্বাচন প্রক্রিয়াটা
পুরোপুরি আলাদা হবে, যেখানে জাতীয় দলের প্রয়োজনীয়তার ওপর সবচেয়ে বেশি নজর
রাখা হবে। ভিন্ন ভিন্ন অঙ্গনের ক্রিকেটারদের মধ্যে দক্ষতার পার্থক্যটা
ঘুচিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে এই প্রোগ্রাম। লক্ষ্য থাকবে যেন এখান থেকে
প্রত্যেক মৌসুমে অন্তত দুই বা তিন জন ক্রিকেটার বাংলাদেশ ‘এ’অথবা জাতীয়
দলের জন্য তৈরি করা।’
গত মৌসুমে এইচপি কার্যক্রমে থাকা দলটির
বিদেশে যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত নানান কারণে যাওয়া হয়নি। তবে এবার
বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে দারুণ আশাবাদী বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির
ম্যানেজার নাজমুল আবেদিন ফাহিম।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এবার চেষ্টা থাকবে
বাইরে যাওয়ার। বাইরের কন্ডিশনে ছেলেরা কিভাবে পারফরর্ম করবে বা করতে পারে
সেই জিনিসটা শেখানোর চেষ্টা থাকবে।’
দিন চারেক আগে বিসিবির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে
সাইমন হেলমটের। অস্ট্রেলিয়ার এ কোচের পারফরম্যান্স ভালো হলে চুক্তির মেয়াদ
আরো বাড়তে পারে। এ বিষয়ে বিসিবির বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির
ম্যানেজার বলেন, ‘সায়মন হেলমটের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে; এ বছর তিনি আমাদের হয়ে
কাজ করবেন। এরপর আমরা সন্তুষ্ট হলে তার মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা করবো। এটা
নির্ভর করবে দু’পক্ষেরই সমঝোতার উপর ভিত্তি করে।’
No comments