Header Ads

*স্বাস্থ্য তথ্য*

 

 

দ্রুত হাটার উপকারিতা






হাটা একটি উত্তম ব্যায়াম। সকালে বা বিকালে সুবিধামত সময়ে কমপক্ষে ১ (এক) ঘন্টা দ্রুত হাটতে হবে। এমনভাবে দ্রুত হাটতে হবে যেন হার্টবিট বেড়ে যায় ও শরীর ঘেমে যায়। হাটার সময় পেটে টান রেখে  সোজা হয়ে হাটতে হবে। হাটা শুরু করার পূর্বে ২-৩ গ্লাস পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ১ (এক) ঘন্টা দ্রুত হাটলে আল্লাহর রহমতে নিম্নলিখিত ফলাফল পাওয়া যায়।
১.   উচ্চ রক্তচাপ কমে।
২.   দ্রুত হাটা ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন কমিয়ে ৬০% উচ্চ রক্তচাপ রোগী ঔষধ ছাড়াই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রেখেছেন।
৩.  দেহের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। এতে ব্রেন ও হার্ট এ্যাটাকের ঝুকি কমে যায়।
৪.   হার্ট ভাল থাকে এবং হার্টে ব্লক হতে পারে না।
৫.   শরীরের মেদভূড়ি কমে। রক্তে চর্বির মাত্রা হ্রাস পাওয়ার ফলে ধমনীতে ফলক সৃষ্টি হতে পারে না।
৬.  যাদের বুকে ও পেটে চর্বির পরিমান বেশী তাদের হৃদরোগের ঝুকির পরিমান বেশী। প্রতিদিন ১ ঘন্টা দ্রম্নত হাটলে চর্বি কমে গিয়ে ঝুকি কমে যায়।
৭.   যারা নিয়মিত হাটেন তাদের মধ্যে ৬৪% লোকের স্ট্রোকের ঝুকি থাকে না।
৮.  সকল ধরনের বুকের ব্যথা ও ধরফর করা ভাল হয়।
৯.   হার্ট ২০,০০০-৩০,০০০ বার প্রতিদিন স্পন্দন থেকে বিরত থাকে। ফলে হার্টের উপর থেকে অনেক বাড়তি কাজের চাপ হ্রাস পায়।
১০. গবেষণায় দেখা গেছে যারা প্রতিদিন ৫ কিলোমিটার হাটেন তাদের আয়ু বেশী।
১১. ডায়াবেটিস রোগ হতে পারে না ও রোগ থাকলে নিয়ন্ত্রনে থাকে।
১২.  নিয়মিত হেটে শরীরের অনেক পরিমান ওজন কমানো সম্ভব।
১৩.  শরীরের ভিতর ঝিম ঝিম বা ম্যাচ ম্যাচ ভাব থাকে না ও শরীর তরতাজা থাকে।
১৪.  হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় ও ক্ষুধা বাড়ায়।
১৫.  খুব ভাল ঘুম হয়।
১৬.  বাত-ব্যথা দূর হয়। দেহের মাংসপেশী ও অস্থিসমূহ নিস্ক্রিয় থাকলে বাত-ব্যথার সৃষ্টি হয়। নিয়মিত দ্রুত হাটলে ঝুকিহীনভাবে এ রোগ দূর হয়।
১৭.  হাপানী রোগ নিয়ন্ত্রনে থাকে।
১৮.  কাজের প্রতি অনিহা থাকে না।  ১০% কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
১৯.  টেনশন বেড়ে গেলে খুব জোড়ে জোড়ে আধা ঘন্টা হাটলে টেনশন কমে যায়।
২০. আঙ্গুল পচা, গ্যাংগ্রিণ ইত্যাদি হয় না বা কম হয়।
২১.  হার্ট, কিডনী, যকৃত, ফুসফুস ও অন্যান্য অংগের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
২২.  ত্রিশ (৩০) বছর বয়সের পরে শরীরের চামড়া ঢিলা হয়ে যায়। নিয়মিত হাটলে উক্ত চামড়াগুলো টানটান হয়ে বয়স কমিয়ে দেয়।
২৩. চেহারা খুব সুন্দর করে।
২৪.  যারা জড়মড় হয়ে চুপচাপ বসে বসে থাকেন তারা ৪০ বছরেই ক্ষয়িঞ্চু বৃদ্ধের মত হয়ে পড়েন।
২৫. যারা নিয়মিত হাটেন তারা ৭০ বছর বয়সেও বেশ শক্ত সবল থাকেন।
২৬.  যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায় ও যৌবনকাল দীর্ঘায়িত হয়।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যারা নিয়মিত ঔষধ সেবন করেন তারা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন বাদ দিবেন না। যাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা শুরু হয়েছে মাত্র তারা দ্রুত হাটার দ্বারা উপকার পাবেন। নিয়মিত হাটুন – সুস্থ থাকুন

 

 

 

 

খালি পায়ে হাটা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী

খালি পায়ে হাটা ও দৌড়ানো অনেক ক্ষেত্রেই জুতা পরে হাটার চেয়ে বেশি উপকারী। পায়ের বেশ কিছু রোগের জন্য আমেরিকার বিশেষজ্ঞ দল জুতা পরে হাটাকেই দায়ী করেছেন। হার্ভাট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইরানী ডেভিস মূলতঃ মানুষের চলাফেরা এবং এর উপরে বর্তমান সময়ের জুতাগুলো স্বাস্থ্যসম্মত কিনা তা গবেষণা করছেন।
pavement pounders prone সহ বেশ কিছু রোগের জন্য নিয়মিত জুতা পরে দৌড়ানোকেই দায়ী করেছেন- চিকিৎসকগণ।
barefoot-415x539
তিনি জানান,
“যখন আপনি হিলওয়ালা জুতা পরে দ্রুত দৌড়ান তখন পায়ের একটি অংশে শরীরের সম্পূর্ণ ভর দেওয়া হয়, এবং অন্য অংশে কোন চাপ পরে না। এবং যদি খালি পায়ে হাটা হয় তখন সম্পূর্ণ পায়ে-ই একটা ভারসাম্য বজায় থাকে। “
এই বেপারে পর্যবেক্ষণের জন্য কেনিয়ার রানারদের উপরে পরীক্ষা চালানো হয়। তাদেরকের জুতা পরে  নিয়মিত দৌড়ানোর পরে খালি পায়ে দৌড়াতে দিলে তাদের পায়ে একটি ব্যথা অনুভব হয়। জুতা পরে দৌড়ালে চলাফেরার জন্য আলাদা একটি প্যাটার্ণ তৈরী হয়। মাংশপেশীগুলোও সেই ভাবে সংকুচিত এবং প্রসারিত হয়। কিন্তু খালি পায়ে হাটলে সেই মাংশপেশীতে আবার টান পরে এবং তাই ব্যথা অনুভব হয়।
এজন্য অবশ্য এমন ধরনের জুতা বানানো যেতে পারে যার মাধ্যমে পায়ের স্বাভাবিকতা বজায় থাকবে এবং পায়ের সাধারন চরাফেরায় ব্যঘাত হবে না।

No comments

Powered by Blogger.